রূপগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের সময় মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা ও হাতাহাতি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদ জানালে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । নির্বাচনে মেয়র পদে জগ প্রতীক পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক এবং মোবাইল ফোন পেয়েছেন আবুল বাশার বাদশা

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের জন্য রফিকুল ইসলাম তাঁর প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে অডিটোরিয়ামের নির্ধারিত আসনে বসেন। কিছুটা দেরি করে সেখানে আসেন বাদশা। তিনি অডিটোরিয়ামে এসেই রফিককে উদ্দে্শ্য করে গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় বাদশা রফিককে তুই— তুকারি করে পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসতে বলেন। এ সময় প্রার্থী বাদশাকে নিবৃত্ত করার চেষ্ট করেন রফিকুল ইসলাম। তবে বাদশা আরও উত্তেজিত হয়ে রফিকের গায়ে হাত তোলেন। এতে অডিটোরিয়ামে থাকা রফিকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। বাদশার সমর্থকরা তখন রফিকের সমর্থকদের উপর হামলা করলে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে অভিযোগ করে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের অনুষ্ঠানে আমি সহ আমার সমর্থকরা উপস্থিত ছিলাম। পরে মেয়র প্রার্থী বাদশা ও লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। এ বিষয়ে আবুল বাশার বাদশা বলেন, ‘ যা হওয়ার তা হইসে। এটা নিয়া আমি কথা বলব না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজাল্লি ইসলাম বলেন, ‘ অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটছে। আমরা ১০ মিনিটের মধ্যে এটা সমাধান করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ফেসবুক থেকে

এই মাত্র পাওয়া

সর্বশেষঃ