জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার কর্মী- সমর্থকরা। রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে শহরের ডিআইটি এলাকা থেকে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়।

জাকির খান মুক্তি পরিষদের ব্যানারে তার কর্মী-সমর্থকরা মিছিলে নানা স্লোগান দেয়। পরে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সামনের সড়কে এসে সমাপ্ত হয়।

এ সময় জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেন কর্মী- সমর্থকরা।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, জাকির খানকে ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই সাব্বির হত্যাকান্ডের সময় জাকির খান বিদেশে ছিলেন। কিন্তু তাকে আসামি করে দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। আজকে তিনি কারাগারে আছেন। আজকে তার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মী সহ সমর্থকরা মিছিল করেছেন। দেশ গঠনে দেশের সংকটময় সময়ে তাকে আজ নারায়ণগঞ্জবাসীর বিশেষ প্রয়োজন। তাই এই সরকারের কাছে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সাব্বির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার এই মামলা করেছে। তবে এই হত্যা যে করেছে তাকে ক্রস ফায়ারে মারা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে জাকির খান ছিলেন না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জাকির খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নষ্ট করার জন্য তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন।

ফেসবুক থেকে

এই মাত্র পাওয়া

সর্বশেষঃ