ফতুল্লায় দোকান ভাড়া নিয়ে বিএনপির অফিস খুলে বিএনপি নেতার দোকান দখলের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দোকান ভাড়া নিয়ে রাজনৈতিক কার্যালয়ের নামে দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে কথিত বিএনপি নেতা রাসেলের বিরুদ্ধে। এমনকি দোকান ভাড়া না দিয়ে দিনের পর দিন দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আঃ গাফ্ফার মিয়া। অভিযুক্ত কথিত বিএনপি নেতা রাসেল। ভুক্তভোগী আঃ গাফফার ফতুল্লার কোতালের বাগ এলাকার বাসিন্দা ও দোকান মালিক। 
লিখিত অভিযোগে আঃ গাফ্ফার বলেন, ফতুল্লার কোতালের বাগ এলাকার মাদ্রাসা সংলগ্ন ও রেললাইনের পাশে আমাদের বাড়ি ও দোকান রয়েছে। অনেক দিন পূর্বে বিবাদী রাসেল আমার কাছ থেকে দুই শার্টারের একটি দোকানে মুদি দোকান চালনোর কথা বলে ভাড়া নেয়। কিন্তু তারা দোকান ভাড়া নিয়ে রাজনৈতিক অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। এতে আমি বারংবার বাধা দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি, উল্টো আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া দোকান ভাড়ার কোন টাকা তারা দিচ্ছেনা। যেকারণে আমি দোকানটি ফেরত চাইলে বিবাদীগণ দোকান বুঝাইয়া না দিয়ে উল্টো হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ২ জুন দুপুর ১২ টায় বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করে দোকানটি আমাকে ফেরত দেওয়ার কথা বললে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে দোকানের মালিক আঃ গাফ্ফার আরও বলেন,আমার কাছ থেকে রাসেল দোকান ভাড়া নিয়ে বিএনপির কার্যালয় করেছে। বিগত এক বছর যাবত দোকান ভাড়া দেয়নি। এ কারণে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে ওরা বিএনপি নেতা রিয়াদ চৌধুরীর সাথে কথা বলতে বলে ও হুমকি দেয়। দোকান ভাড়াবাবদ তিন হাজার টাকা করে ১২ মাসে ৩৬ হাজার টাকা পাওয়া হয়েছে। সেই মার্কেটে আমাদের ৬টি দোকানের মধ্যে একটি দোকান দখল করে তারা এ কাজ করে আসছে।
দোকান মালিকের অপর অংশীদার আব্দুল হালিম বলেন, রাশেদ দোকান দখল করে বসে আছে। সে ভাড়াও দেয়না, দোকানের পজিসনও বুঝিয়ে দেয়না। দোকান ছাড়ার কথা বললে তিনি রিয়াদ চৌধুৃরীর কথা বলে আমাদের শাসায়। রাসেল এখন রিয়াদ চৌধুরীর সাথে বিএনপির রাজনীতি করে। অথচ এক সময়ে এই রাসেল আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল বলেন, আমার বড় ভাই এই দোকানে ইট-বালুর দোকান দিয়েছিল। তবে এখনো কোন বিএনপির অফিস করা হয়নি। পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর দোকান মালিক ভাড়া চেয়েছে। এই অবস্থায় বড় ভাইয়ের ব্যবসা থেকে আয়-ব্যয় হিসেব করে তাকে ভাড়ার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এখানো কোন ঝামেলা নেই। আর রিয়াদ চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এমনিতে কোন রাজনীতি করিনা। আমি নিরীহ মানুষ। বিএনপির লোকজন তাদের মিটিং মিছিলে ডাক দিলে তাদের সাথে যেতে হয়। এক সময় আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের মিছিল মিটিংয়ে ডাক দিলে সেখানেও যেতাম।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মূলত দোকান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাদী তার এলাকার লোকজন নিয়ে এ বিষয়ে বসে মিমাংসা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এরপরও বিষয়টি সুরাহা না হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুক থেকে

এই মাত্র পাওয়া

সর্বশেষঃ