নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী মর্ডান স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র রাহাতকে এলোপাথাড়ি চড় থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা-পচিালকের বিরুদ্ধে। মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। সোমবার দুপুরে উপজেলার আমিন আবাসিক এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম রাহাত আহমেদ। তিনি দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- স্কুলেরর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং গণিত শিক্ষক সোহেল।
মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করে শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ বলেন, দশম শ্রেণীর ক্লাস শিক্ষক সোহেল স্যার আমাকে ফোন করে পায়নি বলে অভিযোগ তোলেন। মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিলনা বলে আমি তাকে জানিয়েছি। এরপর তিনি আমাদের অংক করতে দেন। অংক সম্পন্ন করে তাকে খাতা দিলে তিনি খাতা ছিড়ে ফেলেন আর আমাকে ৪-৫ টা চড়-থাপ্পর মেরে আমাকে শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেন। এরপর তিনি উল্টো আমার নামে গিয়াস উদ্দিন স্যারের কাছে বিচার দিয়েছে। আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে এমডি স্যার (গিয়াস উদ্দিন ) আমাকে ডেকে নিয়ে প্রায় ২০ টার মত চড়-থাপ্পর মেরেছে। তবে কী অপরাধে আমাকে মারধর করেছে তা জানায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি তাকে মারতেই পারি, শাসন করতে পারি। আমি আমার ছেলে মনে করে তাকে শাসন করেছি, চড়-থাপ্পর মেরেছি। এ বিষয়টা সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়টা কি সহজভাবে দেখা যায়না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবু তালেব বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে মারধর করার নিয়ম নেই। কেউ এমনটি করে থাকলে অন্যায় করেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মোহাইমিন আল জিহান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।